টি-শার্ট ডিজাইন করে ইনকাম করুন
Teespring হচ্ছে একটি কাস্টম টি-শার্ট ডিজাইন প্লাটফর্ম, যেখানে আপনি টি-শার্ট ডিজাইন করে সেল করতে পারবেন। আর এই টি-শার্ট ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সেল করা যায়, তবে ইউ এস এ এবং ইউরুপে বেশি সেল হয়। Teespring এ আপনি অনেক ধরনের ডিজাইন করতে পারবেন, যেমন – টি-শার্ট/হডি/ভি-নেক/লং-স্লিভ ইত্যাদি। প্রতি মাসে $1000 ডলার ইনকাম করা সম্ভব টি-শার্ট ডিজাইন ও বিক্রয় করে।
ধরুন, যদি টি-শার্টের দাম ২২ ডলার হয় আপনি পাবেন ৫০% কমিশন অর্থাৎ ১১ ডলার । ১ ডলার =৮০ টাকা হলে, ১১ ডলার = ৮৮০ টাকা (প্রায়)। আপনার ডিজাইনটি যতবার বিক্রয় হবে আপনি ততবার কমিশন পাবেন।
টিস্প্রিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে টি-শার্ট বিক্রয় করার একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে আপনাকে ডিজাইন এবং মার্কেটিং জানতে হবে। এই মার্কেটপ্লেসে ফ্রীলেন্সেররা টি-শার্ট ডিজাইন করে এবং নিজেরাই ডিজাইনকৃত টিশার্ট মার্কেটিং করে বিক্রয় করে। এর মাধ্যমে ফ্রীলেন্সাররা বিক্রি করা টি-শার্টের মূল্যের উপর নির্দিষ্ট হারে কমিশন পায়। তবে আপনি যদি কোন ডিজাইনারকে নিয়োগ দিতে পারেন তাহলে ডিজাইন না জানলেও চলবে। অর্থাৎ, চাইলে দুই জনের টিমও একত্রে হয়ে কাজ করতে পারেন।
Teespring এই ডিজাইন নিয়ে বায়াররা কি করে ?
তারা আমাদের কে সামান্য একটা পারিশ্রমিক দিয়ে, এই ডিজাইন দিয়ে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে, অথবা তাদের কম্পানির জন্য ব্যবহার করে। আসলে আমরা কখনো রিসার্চ করতে চাইনা, যত টুকু কাজ শিখছি তাতেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাই, আমাদের জন্য অনেক ভালো ভালো সুযোগ রয়েছে যেটা আমরা কাজে লাগাতে পারি, যেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারেন এতো টাকা যা কল্পনাও করতে পারবেন না ফ্রী/পেইড দুই ভাবেই । টিস্প্রিং আপনার বিক্রয়ক্রিত টি-শার্ট প্রিন্ট করাবে এবং নির্দিষ্ট ক্রেতার নিকট পাঠিয়ে দিবে, তাই আপনার আসল কাজ হচ্ছে ভালো ডিজাইন করা এবং তা মার্কেটিং করা ।
কিভাবে ইনকাম করবেন ?
টি-স্প্রিং একটা কাস্টম ডিজাইন টি-শার্ট প্লাটফর্ম যেখানে খুব সহজে ডিজাইন সাবমিট করে ফ্রী তে সেল পেতে পারেন, চাইলে আপনি পেইড মার্কেটিং ও করতে পারেন সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ফেসবুক এ এড এর মাধ্যমে পেইড করতে হবে। যেহেতু আমরা ইউ এস এ এবং ইউরুপে সেল করবো, সেহেতু আমাদের ইউএস এবং ইউরুপ এর মার্কেট খেয়াল রাখতে হবে, তারা কেমন টি-শার্ট পরতে পছন্দ করে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা কেমন টি-শার্ট পরে, এগুলা সম্পর্কে আইডিয়া নিতে হবে, যেমন মনে করুন আমাদের দেশ এ যখন ধর্মীও অনুস্থান হয়, তখন আমরা অনেক শপিং করি, সেরকম USA এবং EU এ হয়, অদের ধর্মীও অনুষ্ঠানে ওরা অনেক শপিং করে, আর অন্যকে গিফট দেয় বেশি, কখন কি টাইপ অনুষ্ঠান হচ্ছে সেটার দিকে খেয়াল রেখে, নিজের ডিজাইন করলেই ভালো সেল হবে।
অন্যের ডিজাইন কপি করতে পারবো ?
অন্যের ডিজাইন কপি করা যাবেনা, তবে সিমিলার ট্রাই করতে পারেন, (অন্য সাইট থেকে) তবে ১০০% ডিজাইন মিলে গেলে সুদু মাত্র সেই ডিজাইন তা ডিলেট করে দিবে টিস্প্রিং, অথবা নিজেই তৈরি করতে পারেন নিউ ডিজাইন, আমি সিমিলার ডিজাইন করেও অনেক সেল পাইছি, এখানে সব চেয়ে বেশি সেল হচ্ছে এমন সব ডিজাইন দেয়া আছে, আপনি চাইলে এখান থেকে নিজের নিস অনুযায়ী আইডিয়া নিতে পারেন এবং এর সিমিলার ডিজাইন ও করতে পারেন, তবে ১০০% ডিজাইন মিলে গেলে সুদু মাত্র সেই ডিজাইন তা ডিলেট করে দিবে টিস্প্রিং।
Teespring কিভাবে কাজ করতে হবে-
১। প্রথমে Teespring এ একাউন্ট করুন এই লিঙ্ক থেকে >> http://bit.ly/2S65VUe
(এই লিঙ্ক এ গিয়ে অ্যাকাউন্ট করুন, চাইলে ফেসবুক দিয়েও অ্যাকাউন্ট করতে পারেন, তবে আমি বলবো মেইল দিয়ে করুন এটাই ভালো হবে)
২। তারপর আপনি চাইলে টি-স্প্রিং এর ডিফল্ট এডিটর দিয়ে ডিজাইন করতে পারেন এবং চাইলে illustrator অথবা Photoshop দিয়ে ডিজাইন করে সাবমিট করতে পারেন।
৩।আপনার একটা ডিজাইন আপনি চাইলে হুডি/ফুল হাতা এবং ভি গলা তে ব্যবহার করতে পারবেন, তারপর কালার সিলেক্ট করুন মনে রাখবেন পপুলার কালার হচ্ছে ব্ল্যাক/নেভি বুলু/রয়েল বুলু/রেড ইত্যাদি।
৪। তারপর আপনাকে টাইটেল/ডিসক্রিপশন/ট্যাগ দিতে হবে, মনে রাখবেন ফ্রী তে সেল এর জন্য টাইটেল/ডিসক্রিপশন/ট্যাগ গুরুত্বপূর্ণ।
৪। তারপর ক্যাম্পেইন এর ডেট ফ্রী এর জন্য সর্ব উচ্চ ৫ দিন রাখবেন, আমার মতে এটাই বেস্ট।
৫। তারপর ক্যাম্পেইন পাবলিশ করে দিবেন, এর পর সুদু ফ্রী ইউএস মার্কেটপ্লেসে শেয়ার করবেন, যেমন- পিনটারেস্ট/টুইটার/গুগল প্লাস/ ইত্যাদি।
৬। খেয়াল রাখতে হবে যেন ডিজাইনের গঠন দেখতে সুন্দর হয়। লিখার এ্যালাইনমেন্ট, আর্টওয়ার্কের প্লেসমেন্ট, ফন্টের মধ্যে ফাকা অংশগুলো যেন সঠিক মাপে থাকে সেদিকে ভালো ভাবে খেয়াল রাখতে হবে এবং এই বিষয়গুলোতে যত্নবান হতে হবে।
৭। সঠিক কালার নির্বাচন করা: আপনার মেসেজটি/ডিজাইনটি কাদের টার্গেট করে করা হয়েছে প্রতিটি ডিজাইন আছে আলাদ আলাদা কিছু কালার কোড। এটা মেয়েদের জন্য তাহলে চেস্টা করবেন মেয়েরা পছন্দ করে এমন কালার ব্যবহার করার। যদি ছেলে হয়ে থাকে তাহলে চেষ্টা করবেন ছেলেরা যেসব কালার পছন্দ করে তেমন কালার ব্যবহার করা। যে কালারটি আপনি দিচ্ছেন সেটি আধৌ তাদের পছন্দ হয় কিনা সে বিষয়ে জানা। তাহলে ডিজাইনটি সুন্দর হবে।
যেসব বিষয়ে আপনাকে যত্নবান হতে হবেঃ-
ভাবছেন সবই বুঝলাম, সবই জানি কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখব কিভাবে? কোর্স করার মত এত টাকাতো হাতে নেই। কোন সমস্যা নেই ইচ্ছে থাকলেই হবে। গ্রাফিক্সডিজাইন শেখার জন্য অনলাইন এ আপনি প্রচুর পরিমান টিউটরিয়াল পাবেন। আপনি গুগল কিংবা ইউটিউব এ একটা সার্চদিলেই হাজার হাজার টিউটরিয়াল এর লিংক পেয়ে যাবেন। আর সেখান থেকে আপনার কাঙ্খিত বিষয়টি নির্বাচন করে আজ থেকেই শুরু করুন অনুশীলন।
আপনি যখন মানসম্মত ডিজাইন করতে পারবেন তখন এ ধরনের বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল প্রডাক্ট তৈরি করে সেই মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপলোড করে রাখতে পারেন আর সেখানথেকে যতবার সেল হবে ততবারই আপনি কমিশন পাবেন। এ ধরনের মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে, গ্রাফিক্স রিভার ও ক্রিয়েটিভ মার্কেট অন্যতম।
অনলাইনে ইনকাম এখন আর কঠিন কিছু নয়। নিয়মিত পরিশ্রম এবং নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর ভাল দক্ষতা অর্জন করলেই আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারেন বৈদেশিক মূদ্রা। টি-স্প্রিং একটি কাস্টম টি-শার্ট প্লাটফর্ম এখানে বেসিক থেকে কাজ শুরু করতে পারবেন, এখানে কাজ করতে আপনার কোন কিছুর ধারণা না থাকলেও হবে, এই মার্কেট এ আপনি ফ্রী তে কাজ করে মাসে লাখ টাকাও ইনকাম করতে পারবেন, আর এই কোম্পানি বিশ্বস্ত কারন এতি মধ্যে অনেকে এই কোম্পানি থেকে অনেক টাকা ইনকাম করছেন এবং করছে।
লেখাটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন, কারন আপনার শেয়ারের কারনে আপনি অন্যদের উপকার করছেন এবং সেটি একসময় আপনার নিজের উপকারেও ফিরে আসবে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। পোস্ট সম্পর্কে অবশ্যই আপনার মতামত জানাতে এবং আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করুন।
অন্যান্যঃ
টী-শার্ট বিক্রি করে আয় – টীস্প্রিং
টী-শার্ট বিক্রি করে আয় – টীস্প্রিং
অনলাইনে টী-শার্ট ডিজাইন এবং সেল করে আয় করার খবর নতুন নয়। তবে টীস্প্রিং ই-বানিজ্যের এ ধারণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। টী-শার্ট ডিজাইন থেকে শুরু করে প্রোমোশন (বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মার্কেটিং), অর্ডার গ্রহণ, পন্য উৎপাদন এবং ডেলিভারি – সবক্ষেত্রেই টীস্প্রিং নতুন ধারার প্রবর্তন করেছে। ফলে, অন্যান্য টী-শার্ট প্রোডাকশন প্রতিষ্ঠান থেকে টীস্প্রিং নিজেদের স্বাতন্ত্র্য প্রমান করে ডিজাইনারদের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
টীস্প্রিং কি?
টীস্প্রিং(www.teespring.com) হল কাস্টম টী-শার্ট ডিজাইনিং এবং বিক্রির জন্য শতভাগ ফ্রি একটি অনলাইন প্লাটফরম। যুক্ত্ররাষ্ট্রভিত্তিক এ কোম্পানিটি Walker Williams এবং Evan Stites-Clayton কর্তৃক ২০১১ সালে রড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্স-এ প্রতিষ্ঠিত হয়।বর্তমানে টীস্পিং তার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও কার্্যাবলির দিক থেকে আগের তুলনায় অনেক ব্যপকতা লাভ করেছে।
টীস্প্রিং মূলত গ্রাফিক ডিজাইনারদের কাছ থেকে টী-শার্টে প্রিন্ট উপযোগি বিভিন্ন ডিজাইন আহবান করে। ডিজাইনাররা টীপ্রিং-এর নিজস্ব কাস্টম টুল ব্যবহার করে, অথবা অন্যান্য ডিজাইনিং টুল দিয়ে করা ডিজাইন নির্দিষ্ঠ ক্যাটাগরির (যেমন, বেসিক, লংস্লিভ, ট্যাঙ্ক টপস, হুডিস, ভি-নেক ইত্যাদি) বিভিন্ন শার্টে প্রিন্ট করার জন্য আপলোড করেন। তবে প্রিন্ট করার শর্ত হল, কাস্টমাররা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঐ ডিজাইনের নির্দিষ্ঠ সংখ্যক টি-শার্ট অনলাইনে প্রি-অর্ডার করা লাগবে। আর তা নিশ্চিত করার জন্য ডিজাইনাররা বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ডিজাইন করা টি-শার্ট প্রোমোট করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ঠ সংখ্যক টী-শার্ট অর্ডার হলেই টীস্প্রিং কর্তৃপক্ষ ডিজাইন প্রিন্টের জন্য নির্বাচিত করে। অতঃপর টীস্প্রিং টিশার্ট-গুলো তাদের স্ব-স্ব কাস্টমারের কাছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিপ করে। আর এই ডিল থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ টীস্প্রিং ও ডিজাইনার একটি নির্ধারিত অনুপাতে ভাগাভাগি করে নেন।
টীস্প্রিং কাদের জন্য উপযোগি?
ডিজাইনিং-এ যাদের ন্যূনতম ধারণা আছে তারা টীস্প্রিং-এর কাস্টম টুল ব্যবহার করে টীশার্ট ডিজাইন করতে পারেন। আর যারা ডিজাইনিং-এ মোটামুটি অভিজ্ঞ তারা কাস্টম টুলের পাশাপাশি অন্যান্য টুল ব্যবহার করে তৈরি করা ডিজাইন টীস্প্রিং টুলের সাথে সমন্বিত করতে পারেন। তবে শুধুমাত্র কাস্টম টুলের ফিচারস (টেক্সট/ক্লিপ-আর্ট/কালার) ব্যবহার করেই অনেক ক্যাম্পেইন জনপ্রিয় এবং সফল হয়েছে। এক্ষেত্রে একটি ভালো, ইউনিক আইডিয়াই যথেষ্ট।
তবে ক্যাম্পেইনের সর্বোচ্চ সফলতা নির্ভর করে ডিজাইনটির প্রোমোশনের উপর। যাদের অনলাইনে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, মার্কেটিং বিষয়ে যত বেশি ভালো ধারনা আছে তাদের সফলতা তত বেশি। এক্ষেত্রে যে সবসময় পেইড মার্কেটিং করতে হবে তা নয়; ফ্রি, অর্গানিক মার্কেটিং এর মাধ্যমেও ভালো সফলতা পাওয়া যায়। অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আপনি যে কমিউনিটিকে টার্গেট করে আইডিয়া জেনারেট করে প্রোডাক্টটির ডিজাইন তৈরি করেছেন, সম্ভাব্য সকল পদ্ধতি অবলম্বন করে তাদের কাছে উপস্থাপন করা।
টীস্প্রিং ক্যাম্পেইন
টীস্পিং-এর জন্য ডিজাইন তৈরি, মূল্য নির্ধারন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ন্যূনতম সংখ্যক টীশার্ট বিক্রির জন্য ‘গোল’ নির্ধারণ, ‘গোল’ অর্জনের জন্য বিভিন্ন উপায়ে (সাধারণত, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফেসবুকে পেইড/অর্গানিক) প্রোমোশন এবং ঐ নির্ধারিত সময়ে সর্বাধিক সংখ্যক অর্ডার গ্রহণ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াটি টীস্প্রিং কমিউনিটিতে ক্যাম্পেইন নামে পরিচিত। ক্যাম্পেইনের এ বিষয়গুলো ডিজাইনার নিজে সম্পাদিত করেন, যার পরবর্তি বিষয়গুলো (প্রি-অর্ডার গ্রহন, প্রিন্টিং, শিপমেন্ট ইত্যাদি) টীস্প্রিং কর্তিপক্ষ নির্বাহ করে।
একটি টীস্প্রিং ক্যাম্পেইনের আদ্যোপান্ত
এ পর্যায়ে আমরা দেখব একটি টীস্প্রিং ক্যাম্পেইন কিভাবে পরিচালনা করা যায়। এক্ষেত্রে করনীয়গুলো নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হল।
১। ডিজাইন তৈরিঃ প্রথমে টীস্প্রিং ওয়েবসাইট (https://teespring.com) থেকে Start Designing লিংক-এ ক্লিক করতে হবে। ফলে ডিজাইনিং-এর জন্য টীস্প্রিং-এর নিজস্ব কাস্টম টুল সম্বলিত পেজ আসবে। সেখান থেকে নিম্নোক্ত ফিচারস ব্যবহার করে টী-শার্ট ডিজাইন করা যায়।
ক)টেক্সটঃ টেক্সট ট্যাব থেকে টেক্সট ইনপুট করা, ফন্ট নির্বাচন, ফন্ট কালার, টেক্সট আউটলাইন, আউটলাইন কালার ইত্যাদি নির্ধারণ করা হয়।
তবে টেক্সট সাইজ নির্ধারণের জন্য ক্যানভাসের টেক্সট বক্স স্কেলিং করে নিতে হবে।
খ)আর্টঃ ডিজাইনে ক্লিপ-আর্ট যুক্ত করার জন্য, আর্ট ট্যাবের অধীনে Browse Artwork বাটনে ক্লিক করে বিভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে মানানসই এক বা একাধিক আর্ট যোগ করা যায়। অথবা, Upload Your Own বাটনে ক্লিক করে নিজস্ব ডিজাইন যুক্ত করা যায়।
গ)টী-শার্টের কালার নির্বাচনঃ ক্যানভাসের ডানপাশে অবস্থিত কালার প্যালেট থেকে টী-শার্টের কালার নির্বাচন করা যায়।
ঘ)টী-শার্টের স্টাইল নির্বাচনঃ ডিজাইন এন্ড স্টাইল ড্রপডাউন থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির থেকে যেকোনো একটি ডিজাইন এবং ঐ ক্যাটাগরি থেকে নির্দিষ্ঠ স্টাইলের টী-শার্ট সিলেক্ট করতে হবে। তবে এ কাজটি ডিজাইন শুরু আগে সেরে নেয়া ভাল।
ডিজাইন সম্পন্ন হলে পরে Sell This বাটনে ক্লিক করতে হবে।
২। গোল সেট করাঃ এ ধাপে সর্বনিম্ন কতটি টি-শার্ট অর্ডার হলে তা প্রিন্ট করা হবে সেটি নির্ধারণ করা হয়। এখানে টী-শার্টের বেইজ প্রাইসের সাথে টী-শার্ট সংখ্যার গুননের ফলে যে সম্ভাব্য প্রফিট আসবে তাও প্রদর্শিত হয়। তবে, এখান থেকে অতিরিক্ত ডিজাইন, স্টাইল এবং কালার নির্বাচন করলে এস্টিমেটেড প্রাইসের একটি রেঞ্জ প্রদর্শিত হয়; অর্থাৎ তা সংগত কারনেই অনির্দিষ্ঠ থাকে (যেহেতু, কোন কোন কালার ও স্টাইলের সমন্বয়ে আপনার সেলস গোল পূর্ণ হবে তা আগে বলা যায়না, আর এক এক কালার বা ডিজাইনের জন্য প্রাইস অবশ্যই ভিন্ন হয়)।
সেটিং শেষ হলে Next বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৩। ডেস্ক্রিপশন যুক্ত করাঃ
ক) ক্যাম্পেইন টাইটেলঃ এ অংশে আকর্ষণীয় এবং ডিজাইনের সাথে প্রাসংগিক একটি ক্যাম্পেইন টাইটেল লিখতে হবে।
খ) ডেস্ক্রিপশনঃ ক্যাম্পেইনের জন্য প্রচারণা নির্ভর একটি বর্ণনা এ অংশে টাইপ করা হয়। লক্ষ্যণীয়, ডেস্ক্রিপশন টেক্সটগুলোতে চাইলে টুলবার থেকে বেসিক কিছু ফরমেটিং করা যায়।
গ) ক্যাটাগরি এবং সাব-ক্যাটাগরিঃ এখান থেকে ক্যাম্পেইনের জন্য টার্গেটেড অডিয়েন্সের ক্যাটাগরি ও সাবক্যাটাগরি নির্বাচন করা যায়।
ঘ) ক্যাম্পেইন লেংথঃ ক্যাম্পেইন কতদিন যাবত পরিচালিত হবে তা এখান খেকে নির্দিষ্ঠ করা হয়। সাধারণত সর্বনিম্ন ৩ দিন থেকে সর্বোচ্চ ২২ দিনের মধ্যে যেকোন একটি লেংথ নির্বাচন করা যায়।
ঙ) ইউআরএলঃ টীস্প্রিং ওয়েবসাইটে টীশার্টটির জন্য একটি ইউআরএল এখান থেকে সেট করা যায়।
চ) ডিস্প্লে অপশন্সঃ টীশার্টের ফ্রন্ট এবং ব্যাক দুই দিকেই ডিজাইন থাকলে ওয়েবসাইটে কোন দিকটি ডিফল্ট হিসেবে থাকবে তা ডিস্প্লে অপশনের অধীনে নির্ধারণ করা যায়।
সবশেষে, LAUNCH বাটনে ক্লিক করে ক্যাম্পেইনিং শুরু করা যায়।
এক্ষেত্রে ফেসবুক, জিমেইল বা অন্যান্য ইমেইল সার্ভিস ব্যবহার করে ক্যম্পেইনটি আরম্ভ করা যায়। সুতরাং টীস্প্রিং-এর ওয়েবসাইটে প্রোডাক্টটি এখন লাইভ হবে এবং যেকেউ অর্ডার করতে পারবে।
ক্যাম্পেইনটিতে কোন মডিফিকেশন করতে চাইলে কিংবা তা একসেস করতে হলে টীস্প্রিং অ্যাকাউন্ট ড্রপডাউন থেকে Campaigns লিংকে ক্লিক করতে হবে। এখানে তৈরি করা সবগুলো ক্যাম্পেইন সন্নিবিষ্ট থাকে। প্রতিটি ক্যাম্পেইনের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে মডিফিকেশন করা যায়। সেজন্য ক্যাম্পেইনগুলোর ডানপাশে অবস্থিত এডিট, সেটিং, অ্যানালাইটিক্স প্রভৃতি আইকনগুলোতে ক্লিক করে তা সম্পন্ন করতে হবে। সাধারণভাবে, অ্যাকাউন্ট ড্যাশবোর্ডে ক্যাম্পেইনের বর্তমান অবস্থা (অর্ডার, পেমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য)- সহ সবধরণের সেটিংসই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সেটিংসগুলো ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই সেসব বিষয়ে ভাল দক্ষতা এবং বিশ্লেষন ক্ষমতার প্রয়োগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ধারণা অর্জনের জন্য টীস্প্রিং-এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলসহ অন্যান্য ক্যাম্পেইনারদের ফলো করা যেতে পারে।
যাইহোক, টীস্প্রিং ক্যাম্পেইনের কার্যকরি অংশটি মূলত প্রোডাক্টটি সম্ভব সকল উপায়ে অনলাইনে মার্কেটিং-এর মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গোল অর্জন করা। এক্ষেত্রে গুগলসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের জন্য এবং ফেসবুকসহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে পেইড/অর্গানিক মার্কেটিং পরিচালনা করতে হবে। আমরা আগামী পর্বে মার্কেটিং সহ অন্যান্য বিষয়গুলো দেখব।
লেখক: নাজমূল হক
No comments:
Post a Comment